সাইফুল ইসলাম রিয়াদঃ নোয়াখালীর চাটখিলের নুরুল আমিন (৩২) পেশায় অটোরিকশা (মিশুক) চালক। রিয়া আক্তার(৭) ও রিমন হোসেন(৫) নামে দুই সন্তানের জনক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৪/১২/২০২০ তারিখ নুরুল আমিন বিকাল ৪.৩০ ঘটিকায় রিক্সা নিয়ে জীবিকার তাগিদে বাহির হয়। কিন্তু রাত অনুমান ৮.৩০ মিনিটের সময় সংবাদ আসে নুরুল আমিনের মৃতদেহ চাটখিলের ২ নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গনি বাড়ীর দরজার সামনে রাস্তার পাশে গলায় পাশ লাগানো অবস্থায় সুপাড়ি গাছের সাথে বাধা। সংবাদ পেয়ে চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। শুরু হয় মামলার তদন্ত। মাননীয় পুলিশ সুপার নোয়াখালী মহোদয়ের নির্দেশনায় চাটখিল থানা পুলিশ মাঠে থেকে নিরলস তদন্ত চালিয়ে যায়। তদন্তকালে জানা যায় হত্যাকারী নুরুল আমিনকে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল নিয়ে যায়। শুরু হয় রিক্সা উদ্ধারের জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। তদন্তের ২ দিন পর টিম চাটখিল সনাক্ত করে হত্যাকরী নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার নলুয়া গ্রামে অবস্থান করছে। কালবিলম্ব না করে পুলিশ সুপার নোয়াখালী মহোদয়ের নির্দেশে টিম চাটখিল নলুয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। হত্যাকারী মাহবুবকে ভিকটিমের মোবাইল সহ গত ২৮/১২/২০২০তারিখ রাতে কৌশলে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মাহবুবের দেয়া তথ্যমতে উদ্ধার হয় ভিকটিম নুরুল আমিনের অটোরিকশা। মাহবুবুরে দেয়া তথ্যমতে ২৯/১২/২০২০ তারিখ ভোরে ফেনী সাহদেবপুর এলাকায় হত্যাকারী মাহবুবের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার হয় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সীম। মাহবুব কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মাহবুব ভিকটিম নুরুল আমিনের ঘারে ঘুষি মারলে। মৃত নুরুল আমিন জ্ঞান হারায়। অজ্ঞান নুরুল আমিনকে মাহবুব গামছা দিয়ে সুপাড়ি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অটো রিক্সা, মোবাইল ও ভিকটিমের টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকারী মাহবুব নিজের দোষ স্বীকার করে আজ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। উদঘাটন হয় এক গরীব রিক্সা চালকের ক্লুলেস হত্যার রহস্য। উজ্জ্বল হয় পুলিশের ভাবমূর্তি।