মো: আলা উদ্দিন , নিউইয়র্ক থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফুল্টন ইয়ুথ সোসাইটির উদ্যোগে এক জমজমাট বনভোজন আয়োজন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইল্যান্ডের হেকসের স্টেট পার্কে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে এক পর্যায়ে পার্কটি একখন্ড মিনি বাংলাদেশে রূপ নেয়। বনভোজনে অংশ গ্রহণ করে প্রায় হাজারো বাংলাদেশি মানুষ। পরে ছোট ও বৃহৎ দলে বিভক্ত হয়ে শুরু হয় পারস্পরিক আড্ডা, গল্প, একে অপরের সাথে পরিচিতি-খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি। এই বার্ষিক বনভোজন ও মিলন মেলাটি ছিল ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর শুরু হয় বিভিন্ন খেলা-ধূলা। শিশু-কিশোর ও নবীন-প্রবীণরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে রাখে আকর্ষণীয় সব খেলাধূলা ও মজাদার বাঙালী সব খাবার। দিনব্যাপি বনভোজনে বিভিন্ন খেলা-ধূলা ছাড়াও বিশেষ আর্কষণ ছিল রাফেল ড্র। দুপুরের খাবার শেষে মহিলাদের মিউজিক্যাল বালিশ নিক্ষেপ ইভেন্টের মাধ্যমে খেলাধুলা পর্ব শেষ হয়। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যার কিছু আগে বনভোজনের কার্যক্রম শেষ হয়।
আয়োজনের সর্বশেষ অনুষ্ঠিত রাফেল ড্র তে বিজয়ীরা আর্কষণীয় পুরস্কার জিতে নেন। রাফেল ড্র’র পুরস্কার ছিল স্বর্ণের নেকলেস, স্বর্ণের চেইন, আই ফোন ১৪ প্রো- ম্যাক্স সহ মূল্যবান ১৮ টি পুরস্কার।
পুরো অনুষ্ঠানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন, এত্র সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন আলমগীর, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল চৌধুরী , সংগঠনের সভাপতি জহির আহমেদ ফিরোজ,সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং সিনিয়র সদস্য মো: সুমন হক সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম নেতা, সবার পরিচিত মূখ, নিউইয়র্কের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নামে খ্যাত কনক চৌধুরী। বনভোজনে অংশ গ্রহণ করার জন্য তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন, উক্ত অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আমাদের সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।