বিশেষ প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর চাটখিলে একটি ট্রাভেল এর ভুয়া মালিক সেজে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে শামছুদ্দিন শামিম নামের এক প্রতারকে বিরুদ্ধে।
জানাযায় রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১১২৭) এবং আল কাসেম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং-৬৫৬) (চেয়ারম্যান) মালিক দাবী করা এই প্রতারক নোয়াখালীর চাটখিল বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্সে এর নিচতলায় বি-৪০ নং দোকানে অফিস বানিয়ে এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর চাটখিল শাখায় রোজিনা এয়ার ট্রাভেল নানে চলিত হিসেব নং-৫১৫৩১০১০০০৩৯৭৬ খুলে প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।
নিজেকে হজ্জ এজেন্সির মালিক দাবী করে এই প্রতারক শামিম আকর্ষণীয় হজ্জ পেকেজ এর লিফলেট,ব্যনার,ফেষ্টুনে মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে হজ করতে ইচ্ছুক হাজিদের কাছ থেকে হজের টাকা নিয়ে অন্য এজেন্সি কাছে বিক্রি করে দেয় এবং উন্নত মানের বাসা,স্বাস্থ্যসম্মত ভালো খাবার ও গাইড খরচের নামে নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিলেও কাংখিত সেবা পায়না হাজীরা। চিকিত্সা ও পরিবহন সুবিধাসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌদি আরবে নেওয়া হয়,বাস্তবে তা দেওয়া হয়না। রাখা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের ঘরে,গাদাগাদি করে। পবিত্র কাবা শরিফের কাছাকাছি বাড়ি ভাড়ার কথা বলে তাদের রাখা হয় দূরবর্তী স্থানে। গাড়ির কথা বললেও সেখানে গাড়ি দেওয়া হয়না। গাইডের অভাবেও অপরিচিত জায়গায় হাজিদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাবার সরবরাহ বাবদ অর্থ নিলেও হাজিদের নির্ভর করতে হয়েছে বাইরে থেকে কিনে আনা খাবারের ওপর। আবার অনেকে দেশ থেকে নেয়া চিড়া মুড়ি খেয়েই দিন পার করে। সাংবাদিকদের সাথে এই সব বহুমাত্রিক দুর্ভোগের কথা বলেন কয়েকজন হাজি।
হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর তথ্য মতে রোজিনা এয়ার ট্রাভেল এর মালিক রোজিনা খাতুন এবং আল কাসেম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস মালিক রবিউল ইসলাম তারা উভয় স্বামী স্ত্রী তাদের সাথে শামিমের ব্যপারে যোগাযোগ করলে তারা হতবাক হয়ে বলে আমরা শামিম নামে নোয়াখালী এক জনকে চিনতাম সে ২০১২, ২০১৩ সালে আমাদের লাইসেন্স এর মাধ্যমে ১০/১৫ হাজি নিয়ে হজে যায় এর পরে তার সাথে আর যোগাযোগ হয় নাই সে কি ভাবে আমাদের ট্রাভেলস এর মালিক দাবী করতে পারে, আমি যত দ্রুত সম্ভব তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এই ব্যপারে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমাদের কাছে এখনো কেও এমন অভিযোগ নিয়ে আসেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।