সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: নোয়াখালীর চাটখিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার ড.ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শোডাউন করায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ইব্রাহিম খলিল ওরফে রাসেল (৪২) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ও গোলাম কিবরিয়া ওরফে লিটন(৪৫) একই গ্রামের ইসমাইল বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুজব শুনে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে শোডাউন করে যুবলীগের একদল নেতাকর্মি। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাসেল মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও লিটন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
শোডাউনের পর ইউনূস সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি গুজব বুঝতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। আজিম মিজি নামের স্থানীয় যুবলীগ নেতা লেখেন, “আপনারা গুজব ছড়ান। দুঃখ জনক হলেও সত্য আপনারা সাধারন কর্মীদের সমস্যা বুঝেন না, তাদের খোজ নেন না। একটা বারও কি ভাবেন, কয়েক কোটি ভক্ত সমর্থক কেমন আছে? তারা আপনাদের কাছে কি চায়? লজ্জা হয় না আপনাদের? কোন মুখে আপনারা এসব গুজব ছড়িয়ে কর্মীদের বিপদে পেলেন? আপনাদের শিক্ষা হওয়া উচিত, তেল মেরে মেরে কেন্দ্রীয় পদ-পদবী পেয়ে কোটি টাকা কামিয়ে বিদেশে পড়ে আছেন, এসব বাদ দিয়ে এবার দেশ ও দল নিয়ে একটু ভাবেন।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের ২৫-৩০জন নেতাকর্মির শোডাউনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।