

বিশেষ প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চাঁনহাজী বাড়ির এলডিপি নেতা আবু বকর সিদ্দিকুরের বাড়িতে গুপ্ত হামলা চালিযয়ে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এতে তাদের একটি বসতঘর পুড়ে যায়।
গতকাল শনিবার (৩১ মে) বিকালে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্দুল ও মোহনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায় এটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।
সরজমিনে জানা যায়, আওয়ামী সন্ত্রাসী আব্দুল ও মোহনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এসে আবু বকর সিদ্দিকুরকে খোঁজাখুঁজি করে। এ সময় সিদ্দিকুরের ভাই তাদেরকে জানায় আবু বকর সিদ্দিকুর দেশে নেই। এ কথা শুনার পর সন্ত্রাসীরা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এবং বাড়িতে থাকার লোকজনদের হুমকি-ধমকি প্রদান করে থাকেন। শেষে সন্ত্রাসীরা একটা বসত করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় শাহ আলমের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানায় এর আগে গত ১৫ মে, সিদ্দিকুরের বড় ভাই শাহ আলমের নাজির কাছারিতে অবস্থিত কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামাত ও এলডিপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারায় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র গিয়ে ভাড়া বাসায় উঠতে বাধ্য হয়েছে।
এই বিষয়ে নোয়াখালী জেলা এলডিপি নেতা মিজানুর রহমান বলেন ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে কিন্তু তাদের নিয়োগ দেওয়া দলীয় ক্যাডাররা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তবিয়তে চাকরি করছে এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যার কারণে এই ধরনের গুপ্ত হামলা বদ্ধ হচ্ছে না এবং হামলাকারীরা আইনের আওতায় আসছেনা। এখন দরকার জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে সংস্কার করে প্রশাসনের ভিতর থাকা আওয়ামী ক্যাডারদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা।