নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালী রুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বাসগুলোতে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া আদায়ের দায়ে ১১টি পরিবহনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ফেইসবুক পেইজ ও মোবাইল ফোনে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়েচারটা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাসগুলোকে জরিমানা ও তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়, নোয়াখালী ও আতিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেল এবং আইন শৃঙ্খলায় সহযোগিতা করেন র্র্যাব-১১, লক্ষীপুর।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ধারায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ঢাকাগামী পরিবহন একুশে এক্সপ্রেস ৫হাজার টাকা, হিমাচল পরিবহনকে ৫হাজার টাকা, জননী পরিবহনকে ৫হাজার টাকা, মোহনা পরিবহনকে ৫হাজার টাকা ও চট্টগ্রামগামী বাস সার্ভিস জোনাকী পরিবহনের ২টি বাসকে ৫হাজার ৫শত টাকা, বাধন পরিবহনকে ২হাজার টাকা, শাহী পরিবহনকে ৪হাজার টাকা, নিলাচল পরিবহনের ২টি বাসকে ৩হাজার ৫শত টাকাসহ মোট ১১টি পরিবহনকে ৩৫হাজার টাকা জরিমানা দন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুরে বাস থামিয়ে নোয়াখালী-ঢাকা ও নোয়াখালী-কুমিল্লাগামী বাসগুলোতে যাত্রীদের যাত্রী টিকেট যাচাই ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায়- বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে স্থানভেদে ৩০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসময় গাড়ীর সুপারভাইজার ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং একই সাথে যাত্রীদের তাৎক্ষণিক অভিযোগে তারা টিকেটে নির্ধারিত ভাড়া উল্লেখ করেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। এ অবস্থায় বাসগুলোকে জরিমানা করা হয় ও যাত্রীদের থেকে সংগৃহীত অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়। এসময় যাত্রীদের মাঝে আনন্দ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য এ রুটে চলাচলকারী একমাত্র গাড়ী উপকূল পরিবহনকে নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করতে দেখা যায়।
দুপুর ২টার দিকে স্থান পরিবর্তন করে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর বাজারের পূর্ব পাশে সেতুভাঙ্গা এলাকা দিয়ে চলাচলকারী নোয়াখালী-চট্টগ্রাম, নোয়াখালী-ফেনী ও লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রামগামী পরিবহনগুলোতে যাত্রীদের যাত্রী টিকেট যাচাই ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায়- বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে স্থানভেদে ১৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসময় গাড়ীর সুপারভাইজার ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। তখন বাসগুলোকে জরিমানা করা হয় এবং যাত্রীদের থেকে সংগৃহীত অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়। এসময় বাসযাত্রীগণ এ অভিযানে সন্তোষ্টি প্রকাশ করেন ও আরো বেশি সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার অনুরোধ করেন।