

নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে পরিচিত বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে একযোগে ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খান জানান, দোকানিরা মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যতীত এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ ছাড়াই ব্যবসায় পরিচালনা করছেন। এসব অপরাধে গ্রীন পাওয়ার মিলকে ১৫,০০০, আজমীর ফ্লাওয়ার মিলকে ২,০০০, মিল স্টোরসকে ৩,০০০, খান ইলেক্ট্রিককে ৫,০০০, ভাই ভাই স্টোরকে ১,০০০, খাজা ভাণ্ডারকে ২০,০০০, খুরশিদ আলম ট্রেডার্সকে ৫,০০০, খাদ্য ভাণ্ডারকে ৫,০০০, ভাই ভাই স্টোরকে ৫,০০০, ঢাকা স্টোরকে ১০,০০০, নিউ জিএস গ্যালারীকে ৭,০০০, হাজী ক্লথ স্টোরকে ৫,০০০,শাহ আলম ক্লথ স্টোরকে ৩,০০০, ফয়সাল ওয়ান টাইমকে ৭,০০০, মডার্ন স্টোরকে ১০,০০০, এবি ফ্যাশনকে ৬,০০০, ফ্যাশন ওয়েবকে ৫,০০০, সুমাইয়া সুজকে ৮,০০০, মনোয়ারা ট্রেডার্সকে ২০,০০০, নাসির এন্ড ব্রাদার্সকে ১০,০০০, আজমির ট্রেডার্সকে ২০,০০০, সুনিল স্টোরকে ২০,০০০, মিরাজ এন্টার প্রাইজকে ২০,০০০, দেলোয়ার ব্রাদার্সকে ২০,০০০, আহাদ ট্রেডার্সকে ১০,০০০ এবং নিউ বস্ত্র বিতানকে ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী ২৬টি মামলায় এসব জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা নজরুল, রোকনুজ্জামান খান, এম সাইফুল্লাহ, রুহুল আমিন, ইমামুল হাফিজ নাদিম ও আসাদুজ্জামান রনি।
সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুল কাদের সজীব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক কাউছার মিয়া, র্যাব-১১ লক্ষীপুর এর কোম্পানি কমান্ডার আবু সালেহ, ব্যাটেলিয়ান আনছার ও পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চৌমুহনীর আড়ত বাজার, খোলা বাজার ও কাঁচা বাজারে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।