নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর চাটখিলের খিলপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ জানুয়ারি (সোমবার) রাত আনুমানিক ২টার দিকে এই হামলার গঠনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাত ২টার দিকে প্রায় ৫ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল আমার বাড়ির বাউন্ডারির ভিতর প্রবেশ কোরে দরজায় গুলি করে এবং জানালার গ্লাস ভাংচুর করে এতে আমি এবং আমার সহধর্মিণী ঘুম থেকে উঠে আতংকিত হয়ে ঘরের ভিতর লুকিয়ে যাই।আমার ঘরের দরজা এবং গেট মজবুত হওয়াতে তারা অনেক চেষ্টা করে ঘরের ভিতর ঢুকতে না পেরে দুই ঘন্টার মতো আমার বাড়ির আশেপাশে অবস্থান করে ভোর ৪টার দিকে চলে যায়। ডাকাতরা আমার বাড়িতে ঢুকার পূর্বে আমার সিসি ক্যামেরার লাইন কেটে দেয় এবং যাওয়ার সময় একটি ক্যামেরা তারা খুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম মোস্তফার সাথে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সালাউদ্দিন সুমনের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের কম্বল বিতরণের লিষ্ট করাকে কেন্দ্র করে জামেলা হয়।এতে দুপক্ষ দুপক্ষকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে এবং এ বিষয়ে সালাউদ্দিন সুমন সংবাদ সম্মেলনও করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, গোলাম মোস্তফা এবং সালাউদ্দিন সুমনের পূর্বের ঘটনাকে পুনরায় উস্কানি দেওয়ার জন্য তৃতীয় পক্ষ সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে এই সন্ত্রাসী হামলা চালান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সুমন জানান,গোলাম মোস্তফা সম্পর্কে আমরা চাচা হন, গতরাতে একটি পক্ষ পরিকল্পিত ভাবে উনার বাড়িতে হামলা করে মূলত আমাকে রাজনৈতিক ভাবে বেকায়দায় ফেলার জন্য। গোলাম মোস্তফা একজন বয়োঃবৃদ্ধ মানুষ এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। আমি সবসময় তাকে সম্মান করি।উনার বাড়িতে গুলি করানোর মতো কাজ আমি কেনো করাতে যাবো?আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল জানান,খিলপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলার বিষয়টি দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে তৃতীয় কোন পক্ষ সংগঠিত করছে।
চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হয়েছে।
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিল। একটি গ্রুপ কাজগুলো করাচ্ছে। তদন্তে জানা যাবে কারা এগুলো করাচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাতে নির্দেশ দিয়েছি।’
খিলপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘দিনগত রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির মেইন গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ঘরের গ্লাস ভাঙচুর করে। সিসিটিভির ফুটেজে কিছু লোক দেখা যায়। আমরা যাচাই বাছাই করে আসামীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।