

সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: নোয়াখালীর চাটখিলে দুটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন। এ সময় ইটভাটা দুটির মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) চাটখিল উপজেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় উপজেলার মোহাম্মদপুর ও নাহারখিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দুটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বন্ধ ঘোষণা ও জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল এলাকার রুপালী ব্রিকস ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের এসএমবি ব্রিকস নামক ইটভাটা দুটির কিলন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ইটভাটা দুটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময় রুপালী ব্রিকস এর মালিককে এক লক্ষ টাকা এবং এসএমবি ব্রিকস এর মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে তা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনের আলোকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইটভাটা দুটি বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি তাদেরকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।’
চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিষিদ্ধ স্থানে ইটভাটা দুটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। যে কারণে ইটভাটা দুটির কিলন ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে অগ্নি নির্বাপন করে ভাটা দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় ইটভাটার চুল্লী, পোড়ানোর জন্য তৈরিকৃত ইট এক্সক্যাভেটর ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্যে ধ্বংস করা হয়। বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ইটভাটা দুটিকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান পরিচালনার সময় নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব, সেনা সদস্যগণ, চাটখিল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।