

বিশেষ প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৭ নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চাঁনহাজী বাড়ির এলডিপি নেতা আবু বকর সিদ্দিকুরের বাড়িতে আসার মিথ্যা খবর শুনে গুপ্ত হামলা চালিয়ে তার বড় ভাই শাহ আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্দুল ও মোহনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায় এতে শাহ আলমের কেবল নেটওয়ার্ক দোকানের অধিকাংশ ল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সরজমিনে জানা যায়, আওয়ামী সন্ত্রাসী আব্দুল ও মোহনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এসে আবু বকর সিদ্দিকুরকে খোঁজাখুঁজি করে। এ সময় সিদ্দিকুরের ভাই শাহ আলম তাদেরকে জানায় আবু বকর সিদ্দিকুর দেশে নেই। এ কথা শুনার পর সন্ত্রাসীরা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে সিদ্দিকুরের বড় ভাই শাহ আলমের কেবল নেটওয়ার্ক দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় শাহ আলমের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার চন্দ্র শেখর গাইন আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন, কিন্তু এর আগেই দোকানের অধিকাংশ মালামাল পুড়ে যায়।
উল্লেখ্য যে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামাত ও এলডিপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারায় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র গিয়ে ভাড়া বাসায় উঠতে বাধ্য হয়েছে।
এই বিষয়ে নোয়াখালী জেলা এলডিপি নেতা মিজানুর রহমান বলেন ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে কিন্তু তাদের নিয়োগ দেওয়া দলীয় ক্যাডাররা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বহাল তবিয়তে চাকরি করছে এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যার কারণে এই ধরনের গুপ্ত হামলা বদ্ধ হচ্ছে না এবং হামলাকারীরা আইনের আওতায় আসছেনা। এখন দরকার জরুরী ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে সংস্কার করে প্রশাসনের ভিতর থাকা আওয়ামী ক্যাডারদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা।