নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পুনঃরায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ফিরে শেষ হয়।
জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন।
৪৫ ফিট লম্বা কালো পতাকার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন। প্রত্যেক গণমাধ্যকর্মীর হাতে ছিল একটি করে কালো পতাকা।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, মুজ্জাকির হত্যার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েকটি টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ সাত-আটজন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৪৫মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।
সংঘর্ষ, গুলির ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এছাড়া মুজাক্কির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবার করা মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। বাদলের করা মামলাটি কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।