নোয়াখালীর বার্তা ডটকম: নোয়াখালী চাটখিলে পাইলস অপারেশন করতে গিয়ে এক যুবকের মলদ্বার কেটে ফেলল নুর হোসেন পলাশ নামের এক ভুয়া ডাক্তার। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ভুক্তভোগী মোঃ জামাল হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটায় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রক্তিম রোজ মেডিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জামাল হোসেন রামগঞ্জ উপজেলার শামপুর আসলাম কবিরাজ বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর নিকট আত্মীয় মামুন হোসেন জানান সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনে দেখেছেন, চাটখিল সরকারি হাসপাতালের সামনে চাটখিল প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় ডাক্তার নূর হোসেন পলাশ নামের এক ব্যক্তি বিনা রক্তপাতে ইনজেকশন এর মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা করে থাকেন। যেহেতু সরকারি হাসপাতালের সামনেও প্রেসক্লাব ভবনের নিচতলায় চেম্বার তাই এই বিজ্ঞাপন দেখে জামাল হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রক্তিম রোজ ফার্মেসিতে আসলে, নূর হোসেন পলাস জানান তিনি ইনজেকশন এর মাধ্যমে হাজার হাজার রোগীকে সুস্থ করেছেন। তাই জামাল হোসেন চিকিৎসা নিতে সম্মতি জানালে নূর হোসেন পলাশ তার চেম্বার এর পিছনে ভুক্তভোগে জামাল হোসেনকে শুইয়ে দেন এবং বলেন একটি ইনজেকশন দিলেই ভালো হয়ে যাবে, কিন্তু নূর হোসেন পলাশ কোন কথা না বলেই ভুক্তভোগী জামালের মলদ্বার কেটে ফেলেন তারে অতিরিক্ত রক্তখননে জামাল হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন জামাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার করার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
ডাক্তার না হয়েও কিভাবে সার্জারি করে এই বিষয়ে অভিযুক্ত নূর হোসেন পলাশের সাথে কথা বললে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ডাক্তার খন্দকার মোস্তাক আহমেদ জানান নূর হোসেন পলাশ আবার কবে থেকে ডাক্তার হলো? সে যে ডাক্তার এটা আমি আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রথম শুনেছি। সেই সাথে তিনি চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার আছে কিনা, এবং সার্জারির বিষয়ে অভিজ্ঞ কিনা এই বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে সকলের প্রতি আহ্বান করেন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে কোন অভিযোগ ফেলে সাথে সাথে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।